আব্দুস সালাম,টেকনাফ (কক্সবাজার)
কক্সবাজারের টেকনাফ থানাধীন সদর ইউনিয়নের খানকার ডেইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৮ হাজার পিস ইয়াবা ও নগদ টাকা উদ্ধার করেছে র্যাব-১৫ এর সদস্যরা। এসময় দুই মাদক কারবারীকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন,টেকনাফ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড খানকার ডেইল এলাকার মোহাম্মদ সাদেকুর রহমানের ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুন(৩০) ও একই এলাকার মুছা আলমের ছেলে শফিকুল আলম(২৫)।
কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার
সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া)
মোঃ আবুল কালাম চৌধুরী গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, রবিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, টেকনাফ থানাধীন টেকনাফ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের খানকার ডেইল এলাকায় কতিপয় ইয়াবা ব্যবসায়ী ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রয় অথবা অন্যত্র প্রেরণের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৫, সিপিসি-২, হোয়াইক্যং ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল উক্ত স্থানে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনাকালে র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে তিনজন ব্যক্তি কৌশলে পালানোর চেষ্টাকালে তাদের মধ্যে দুই মাদক কারবারীকে আটক করতে সক্ষম হয় এবং আটককৃত মাদক কারবারীদের অপর সহযোগী দ্রুত পালিয়ে যায়। এসময় ধৃত আসামীদেরকে পালিয়ে যাওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তারা কোন সদুত্তর দিতে পারে নাই। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত ব্যক্তিদের দেহ তল্লাশী করে তাদের হেফাজত থেকে সর্বমোট ৮ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আটককৃত এবং পলাতক মাদক কারবারীরা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবত মাদক ব্যবসায়ের সাথে জড়িত। তারা মাদকদ্রব্য ইয়াবা বিভিন্ন কৌশলে অবৈধ পথে সীমান্তবর্তী এলাকা হতে সংগ্রহ করে এবং অভিনব নিত্য নতুন পন্থায় নিজেদের হেফাজতে বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে রেখে মজুদ করতো। পরবর্তী পরষ্পর পরস্পরের সহায়তায় খুবই চতুরতার সাথে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে স্থানীয় এলাকাসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে মাদকদ্রব্য ইয়াবা বিক্রয় করে আসছিল মর্মে জানা যায়।
তিনি আরো জানান,উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ইয়াবাসহ আটককৃত এবং পলাতক মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত